বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়া ঘোনা আজিম উদ্দিন পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে রফিকের নেতৃত্বে তার চার পুত্র একই এলাকার নবী হোসেনের স্ত্রী তসলিমার বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক মারধর হামলা ও ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ হামলায় নারী পুরুষসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে নবী হোসেনের স্ত্রী তসলিমা বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চকরিয়াতে গত ২৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি সিআর ১২২০ নং মামলা দায়ের করেছে।
এ মামলায় আসামীরা হচ্ছেন, যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী রফিক আহমদ তার স্ত্রী দিলদার বেগম ও তাদের চারপুত্রের বিরুদ্ধে।
আদালতে দেয়া মামলার আর্জিতে দাবী করা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তসলিমা বেগমের বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসুতি ২ যমজ সন্তানের জননীকে নির্দয় ভাবে প্রহার ও সারা শরীরে কামড়িয়ে শ্লীলনতা হানী করে বলে দাবী করেন মামলার বাদী তসলিমা বেগম। সন্ত্রাসীদের এ হামলায় বাঁধা দেয়ায় তসলিমার কিশোরী কন্যা চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী তাবাচ্ছুম, মৃত আবুল হোসেনের পুত্র নবী হোসেন (৩৬), বাদী তসলিমার মা ও মৃত ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী লাইলা বেগম মারাত্মক ভাবে আহত হন।
সন্ত্রাসীরা হামলার পরবর্তী বাড়িতে ঢুকে রঙ্গিন টিভি, সুকেইচ, ঘরের দরজা, গেইট ভাংচুর ও একভরি ওজনের গলার চেইন নিয়ে যায়। ঘটনার পর উল্টো অভিযুক্তরা থানায় গিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয়। ক্ষতিগ্রস্তরা নিরুপায় হয়ে ২৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সন্ত্রাসী পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় তারা বাদী ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে এ চিহিৃত রাজাকার পরিবারের হাতে এ ধরণের হামলা স্বাধীনতার সংগ্রামে রাজাকারের ভুমিকার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিয়োগ করেছেন। তারা দাবী করেছেন, রাজাকারের ক্ষমতার উৎস নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলে বলেন, তার পরিবারকে! কে এ ধরণের সাহস যোগাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। বর্তমানে ওই রাজাকার পরিবারের হাতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন দাবী করেছেন।
পাঠকের মতামত: